ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৭/০১/২০২৫ ১০:০০ এএম
বাংলাদেশের কক্সবাজার শহরের কাছে এক শরণার্থী শিবিরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের দেখা যাচ্ছে। ছবি: রয়টাসর্

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলো হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের বিস্তার রোধে মানবিক সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে এক মিলিয়ন ইউরো দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের বিস্তার রোধে মানবিক সহায়তা হিসেবে এক মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে। এই অর্থায়নের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং অন্য অংশীদারদের নির্ধারিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের কর্মপরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়া হবে।

এই কর্মপরিকল্পনার আওতায় প্রায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার মানুষকে স্ক্রিনিংয়ের বা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে এবং প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে।

পাশাপাশি হেপাটাইটিস সি প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রমও বাস্তবায়িত হবে। যার মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সঙ্গে ঝুঁকি নিয়ে যোগাযোগ ও তাদের সক্রিয় সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা অন্যতম।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই নতুন অর্থায়ন চলতি বছরে বাংলাদেশে মানবিক সহায়তার জন্য ইতিমধ্যে বরাদ্দকৃত ৫৪ মিলিয়ন ইউরোর একটি অংশ। এই অর্থ রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য এবং দেশের অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ব্যবহৃত হয়েছে। বিশেষ করে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও প্রবল মৌসুমি বন্যার মতো দুর্যোগের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের সংক্রমণের হার অত্যন্ত উচ্চ। এরই মধ্যে সেখানর এক-তৃতীয়াংশ বাসিন্দা হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছে। এটি বিশ্বের যেকোনো জনগোষ্ঠীর মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণের হার হিসেবে পরিচিত।

হেপাটাইটিস সি-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এখনো তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। একই সঙ্গে, এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের জন্য এখনো কোনো টেকসই সমাধান পাওয়া যায়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই অর্থায়ন ইউরোপীয় কমিশনের ইউরোপীয় সিভিল প্রোটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইড অপারেশনস (ইসিএইচও) বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত। ব্রাসেলসের সদর দপ্তর এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রের অফিস নেটওয়ার্ক নিয়ে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিবছর সংঘাত ও দুর্যোগের শিকার লাখ লাখ মানুষের জন্য সহায়তা প্রদান করে। এটি মানবিক চাহিদার ভিত্তিতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অসহায় জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা প্রদান করে আসছে।

পাঠকের মতামত

জেলার শীর্ষ ‎রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ‎কক্সবাজার প্রেস ক্লাবকে বৈষম্য মুক্ত করতেই হবে ‎

‎কক্সবাজার প্রেস ক্লাবকে বৈষম্য মুক্ত করতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন ক্লাবের সদস্য পদ বঞ্চিত ...

মিয়ানমারে আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা

কক্সবাজার টেকনাফ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের চলমান যুদ্ধের কারণে কারণে বাংলাদেশে টেকনাফ সীমান্তে রাখাইনে আগুনের কুণ্ডলী ও ...

টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয়, সেনা অভিযানের দাবিতে স্মারকলিপি

ধারাবাহিক অপহরণের ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া, হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এমন ...